প্রতিনিধি কাশিয়ানী:- বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মাদ আলী খোকন।
সোমবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় কাশিয়ানী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।
মোহাম্মদ আলী খোকন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কাশিয়ানী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুব্রত সাহার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই চিকিৎসক আমাকে জড়িয়ে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। যাহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে তিনি বলেছেন- ‘কালকে খোকন চেয়ারম্যান উনিও কিন্তু আমার এখানে ভর্তি ছিল। কিন্তু জানি না উনি কি কারণে এখান থেকে চলে গেল। আমার ওপর রাগ করে চলে গেছে।’ কিন্তু আমি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম না। যা হাসপাতালের ভর্তি রেজিষ্ট্রার দেখলে সত্যতা পাওয়া যাবে। প্রকৃত সত্য- গত ২৫.০৯.২১ তারিখ দিবাগত রাতে পেটে ব্যথায় আক্রান্ত হয়ে আমার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরের দিন সকালে আমি আমার মেয়েকে দেখতে হাসপাতালে যাই। তার একদিন পর মেয়ের আল্ট্রাস্নোগ্রাফী করাতে পুনরায় আমার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে হাসপাতালে যাই। কিন্তু এ দু’বারের কোনো সময়ই ডা. সুব্রত সাহার সাথে আমার ভাল-মন্দ কথাবার্তা বা অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরো বলেন, ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার প্রতিপক্ষ একটি মহল সুব্রত সাহাকে ভুল বুঝিয়ে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন ও সামাজিকভাবে আমাকে অপরাধী এবং হেয় করার অপচেষ্টা করছেন। আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সংশ্লিষ্ট মামলায় জড়ানোরও চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই আমি ডা. সুব্রত সাহার মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সে সাথে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।