আজকের কাশিয়ানী

গোপালগঞ্জে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মিলছে না অ্যান্টিভেনম!

গোপালগঞ্জে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মিলছে না অ্যান্টিভেনম!

পরশ উজির:- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল গ্রামের মো. আল-আমিন শেখ (২৫)। গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় একটি বিষধর সাপ দংশন করে তাকে। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে প্রথমে নেয় কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে। কিন্তু ভ্যাকসিন না থাকায় নেয়া হয় গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও ভ্যাকসিন না থাকায় সবশেষ নেয়া হয় খুলনা মেডিকেলে। সেখানে ভ্যাকসিন দিয়ে ভর্তি করা হয়।

সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য অন্যতম ভ্যাকসিন ‘অ্যান্টিভেনম’ মিলছে না কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সেসহ জেলার ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সারাদেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু গোপালগঞ্জের এক বহুল জনবসতিপূর্ণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন নেই। যার ফলে প্রতিনিয়ত সাপে কাটা রোগী ওঝার ঝাড়ফুকের ওপর নির্ভর করে জীবন হারাচ্ছে। সাপে কামড়ানো রোগীর জন্য অত্যাবশকীয় অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে না পাওয়ায় সাপে কাটা রোগীর জীবন হুমকির মুখে পড়ছে প্রতিনিয়ত।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. শারফুদ্দীন আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের অন্য জেলা-উপজেলা পর্যায়ে যেখানে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হচ্ছে, সেখানে গোপালগঞ্জের কোনো উপজেলায় না দেওয়া অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং হতাশজনক ব্যাপার। এক্ষেত্রে স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে এবং যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ চিকিৎসকের দ্বারা প্রতিষেধক প্রয়োগ করতে হবে।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, এ ইনজেকশন দিতে ডাক্তারদের অনীহা রয়েছে। রোগীকে সময়মত হাসপাতালগুলোতে না আনায় রোগী মারা গেলে পরিবারের সদস্যরা ঝামেলা করেন। সেইসাথে এ ইনজেকশনের অধিক মজুদ রাখা যায় না। বেশি থেকে গেলে তা নষ্ট হয়ে যায়। ইতিমধ্যে আমরা ২’শ ইনজেকশনের চাহিদা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। পেলে তা সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হবে।