Ajker Kashiani

টুঙ্গিপাড়ায় বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষনের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

টুঙ্গিপাড়ায় বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষনের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

আজকের কাশিয়ানী ডেস্ক:- বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষনের পরেও তরুণীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠেছে সুকান্ত মন্ডল নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই শিক্ষক গ্রাম থেকে পলাতক রয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী।

এঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গুয়াদানা গ্রামে। অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত মন্ডল ঐ গ্রামের সুনীল মন্ডলের ছেলে ও উপজেলার ঘোষেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

ধর্ষনের শিকার ওই তরুণী সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমে আমি সুকান্ত মন্ডলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে চাইনি। তখন সুকান্ত, তার বন্ধু পূর্ণেন্দু ও রমেন আমাকে অনেক বুঝিয়ে প্রেম করতে রাজি করায়। কিছুদিন পর আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। এভাবে কিছুদিন চলার পর প্রেমের বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হয়। তখন গ্রাম্য ভাবে দুই পক্ষ বসে আমাদের আলাদা হয়ে যেতে বলে।

ঐ তরুণী আরও বলেন, গ্রামের মুরব্বিদের কথার সম্মান রেখে আলাদা হয়ে যাই। তখন দ্র‍ুত বিয়ে করার কথা বলে আবার প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় সুকান্ত। তারপর একাধিকবার বিভিন্ন হোটেলে আমাদের মধ্যে শারিরিক সম্পর্ক হয়। কিছুদিন পরে রেজিস্ট্রি করার জন্য আমি তাকে চাপ দিলে বিয়ে করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয় ও যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সুকান্ত আমাকে ঠকিয়ে তার ভাইয়ের শালিকা শ্রাবনীর সাথে প্রেম করছে। তাই আমি ন্যায় বিচার পেতে মিডিয়ার দ্বারস্ত হতে বাধ্য হয়েছি। এছাড়া সুকান্ত বিভিন্ন লোকজন দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করছে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত মন্ডল ধর্ষনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সে তার পড়াশোনা সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে আমার সাথে প্রেম করেছে। আমার গ্রামের মুরব্বীরা যেটা ভালো বুঝবেন সেটা করবেন। তাদের সাথে কথা না বলে আমি আর কিছু বলতে পারব না।

কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, ঐ তরুনীর সাথে গত বছরের ৬ নভেম্বর ঢাকা ওয়ারির একটি আবাসিক হোটেলে রাত কাটায় শিক্ষক সুকান্ত মন্ডল। ওই হোটেলের রেজিস্টার খাতার একটি কপি রয়েছে প্রতিবেদকের কাছে। সেখানে দেখা যায় ঐদিন বেলা সাড়ে ১২ টায় তারা হোটেলে প্রবেশ করে পরদিন একি সময়ে বের হয়। রেজিস্টার বইয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সুকান্ত ও তরুনীর স্বাক্ষর রয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কল্পনা রানী ঘোষ বলেন, আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। এবিষয়ে ভুক্তভোগী তরুনী কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি তদন্ত তন্ময় মন্ডল বলেন, এবিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।