আজকের কাশিয়ানী

বশেমুরবিপ্রবিতে হলের বেড দখলের চেষ্টা, হল প্রভোস্ট লাঞ্ছিত

সাব হেড-ছাত্রনেতা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুর-পুলিশ মোতায়েন।

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আবাসিক হলের বেড দখলকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর ইয়ামিন গ্রুপের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে কয়েক ঘন্টা ব্যাপী এই ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর আলম ও ইয়ামিন তার গঠিত গ্যাংদের সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের বেড দখল করতে আসে বুধবার মধ্যরাতে। সাধারন শিক্ষার্থীরা এঘটনার প্রতিবাদ করলে এসময় তারা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।

খবর পেয়ে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক ও শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মো. ফায়েকুজ্জামান উপস্থিত হলে তারা তাকে লাঞ্চিত করে বলে অভিযোগ করেছেন ফায়েকুজ্জামান। প্রভোস্ট আরো জানান-বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের ব্যবসার সাথে তারা জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বেড দখল ভাংচুর ও প্রভোস্টকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার দ্রুত বিচারও দাবী করেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র গ্যাং জাহাঙ্গীর-ইয়ামিন প্যানেল শেখ রাসেল হলের আবাসিক সিট দখল করতে গেলে সাধারন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা শেখ রাসেল হল পার্শ্ববর্তী স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস হলে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় তাদেরর সাথে স্থানীয় বহিরাগত লোকদের উপস্থিতি দেখা যায়। পরবর্তীতে তিন হলের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য হয় ঐ জাহাঙ্গীর ইয়ামিন গ্যাংয়ের সদস্যরা। পরে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মোতায়েন করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, পরিবার পরিজন থেকে আমরা অনেক দূরে থাকি। আবাসন ব্যবস্থার সংকট থাকায় প্রায়ই বিভিন্ন ছাত্র গ্যাংদের উৎপাত দেখতে হয়। তাদের দৈনন্দিন এসব কার্যক্রমে আমরা অতিষ্ঠ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে জানতে জাহাঙ্গীরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তিনি ব্যস্ততার কথা বলে এড়িয়ে যান।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলো বর্ধিতকরণ কার্যক্রম নির্মাণাধীন রয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে আবাসন সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।