কাশিয়ানী প্রতিনিধি:- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়ে দ্বিতীয় দফা হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক এক ইউপি সদস্য ও তাঁর ছেলে। এ সময় ঠেকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন হাসপাতালের এক কর্মচারী ও আহত রোগীর স্বজনরা।
শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে কাশিয়ানী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগের গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে কাশিয়ানী সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য জামাল শেখ ও সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমানের মধ্যে দ্বন্দ চলছিল। এরই জের ধরে শনিবার সকালে জামাল শেখ সাবেক ইউপি সদস্য মিজানকে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে মিজানের লোকজন জামাল ও তার লোকজনকে মারধর করে। এক পর্যায় দু’পক্ষের লোকজন ঢাল-সড়কি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত মিজানুরের সমর্থক সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস ছত্তার (৫৫) ও তার ছেলে আব্দুল্লাহকে (২৫) চিকিৎসার জন্য কাশিয়ানী হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। জরুরী বিভাগের সামনে পৌঁছালে ইউপি সদস্য জামাল ও তার লোকজন ফের অতর্কিত হামলা চালায় তাদের বাপ-বেটার ওপর। হাসপাতালের কর্মচারী নাদিম হোসেন ঠেকাতে গেলে তার ওপরও হামলা চালায় ইউপি সদস্য জামাল শেখ ও তার লোকজন। বাকি আহতরা কাশিয়ানী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আহত কর্মচারী (ওয়ার্ড মাস্টার) নাদিম হোসেন বলেন, হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে বয়স্ক একজন লোককে কিছু লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে বেধড়ক মারধর করছে। বিষয়টি দেখে খারাপ লাগল। ঠেকাতে গেলে তারা আমাকেও মারধর শুরু করে। বিষয়টি আমি আমার স্যারকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য জামাল শেখের সাথে কথা হলে তিনি হাসপাতালের মধ্যে হামলার ঘটনার কথা অস্বীকার করেন।
কাশিয়ানী হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জরুরী বিভাগের গেটের সামনে রোগী ও আমার হাসপাতালের একজন কর্মচারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমি বিষয়টি থানার ওসিকে জানিয়েছি।
কাশিয়ানী থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বর্তমান ও সাবেক দুই ইউপি সদস্যের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।