ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাক চাপায় মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেয়া কন্যা শিশু সুস্থ আছে। ওই শিশু মহানগরীর পাড়া লাবিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
রবিবার (১৭ জুলাই) লাবিব হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিহত জাহাঙ্গীর আলম আমার প্রতিবেশি। তার বাবা মা প্রতিবন্ধী। জাহাঙ্গীর আমাকে খু্ব সম্মান করত। জাহাঙ্গীর আলমের আগের আরও তিন সন্তান ছিল। তিনজনের মাঝে একজন সানজিদা মারা গেছে। অপর দুইজনের একজন ছেলে এবাদত মিয়া (৮) ও একজন মেয়ে জান্নাত আক্তার (১০)। ছেলেটা কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী। এখন, এই নবজাতকসহ তারা তিন ভাই বোন হলো। তাদের দাদা দাদি দু’জনই প্রতিবন্ধী হওয়ায় ওই তিন শিশুর দেখাশুনা এমনকি ভরণপোষণ দেয়াটাও অসম্ভব। সবাই নবজাতকের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত। অনেক মানুষ নবজাতকের দায়িত্ব নিতে চায়। কিন্তু, অন্য দুই ভাইবোনের খবর এখন পর্যন্ত কেউ নেয়নি। আমরা আশাবাদী, শুধু নবজাতক নয়, তিনজনের দায়িত্বই প্রশাসন নিবে।
এর আগে শনিবার (১৬ জুন) রাত ৯ টার দিকে লাবিব হাসপাতালে ওই নবজাতকের খোঁজখবর নিতে যান জেলা প্রশাসক মো.এনামুল হক। ওই তিনি বলেন, আমি ওই বাচ্চাটিকে দেখত আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বাচ্চার চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব ও ভবিষ্যতে যেন তার কোন সমস্যা না হয়। সেজন্য তার নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট করে দেয়া হবে।
ওই দিন দুপুরে উপজেলার রাইমনি গ্রামের ফকির বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার অস্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগম (৩০) ও মেয়ে সানজিদাকে (৬) নিয়ে আল্টাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে আসেন। পৌর শহরের খান ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী, রত্না বেগম মারা যায় এবং মেয়ে সানজিদা আক্তার গুরুতর আহত হয়। এসময় ট্রাক চাপায় রত্না বেগমের পেট ফেটে কন্যা শিশুর জন্ম হয়।