Ajker Kashiani

পুলিশ সুপারের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগে বর্ণিল ফুলেল শোভায় সজ্জিত গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের প্রতিটি প্রাঙ্গন

পুলিশিং একটি ইমার্জেন্সি সেবা। প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হয় যে কোন ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলায়। ২৪ ঘন্টা রেগুলার রুটিন ওয়ার্কের বাইরেও রয়েছে দাঙ্গা দমন, মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন, আসামি আটক, প্রটোকল ও প্রটেকশন ইত্যাদি সহ নানাবিধ কার্যক্রম।

অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে প্রতিবারই নিজেদের পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনির আক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম বুলেট নিক্ষেপ হতে শুরু করে কোভিড-১৯ মোকাবেলা ও বাঙালি জাতির প্রতিটি ক্রান্তিকালেই স্বর্ণাক্ষরে লিখিত আছে বাংলাদেশ পুলিশের নাম।

 

শারীরিক দক্ষতার পাশাপাশি মানসিক দক্ষতার পরিচয় দিতে হয় প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ পুলিশের। কাজেই সফলতা অর্জনে কাজের পরিবেশ তথা কর্মস্থলের সুন্দর পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পুলিশিং নামক এই ইমার্জেন্সি সার্ভিসে।

এইদিকটি মাথায় রেখেই গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা নিয়েছেন এক অভিনব উদ্যোগ। তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও পরিকল্পনায় গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার এর কার্যালয়, পুলিশ লাইন্স, সকল থানা, তদন্ত কেন্দ্র সহ বিভিন্ন স্থাপনার প্রাঙ্গন সজ্জিত করা হয়েছে লাল,নীল,সবুজ,হলুদসহ নানাবিধ বর্ণিল ফুলের শোভায়।

এ বিয়ষে তিনি “আজকের কাশিয়ানী” কে বলেন, ফুলের সৌন্দর্য, সৌরভ ও সুবাস স্বর্গীয়। বাংলার মাটি সৃষ্টিকর্তার এক অপরূপ উপহার, সামান্য পরিচর্যায় এখানে সোনা ফলে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণ ও বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সমগ্র বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।

আর এই উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা অত্যাবশকীয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বাংলাদেশ পুলিশ।

জাতির পিতার পুণ্যভূমি এই গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশ সদস্যরাও একই ধারাবাহিকতায় কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ সদস্যদের কর্মস্থলের পরিবেশ মনোরম ও সুবাসিত রাখার নিমিত্ত এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যে কোন কাজে মনোবল সতেজ থাকলে কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পায়।