নিজস্ব প্রতিবেদক:- আগামী ১১ নভেম্বর কাশিয়ানীর ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে পাড়া-মহল্লা ও হাটবাজার। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরা।
কাশিয়ানী উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আর ৭টি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী না থাকায় উন্মুক্ত।
কাশিয়ানী সদর, রাতইল, সাজাইল, পারুলিয়া, মহেশপুর, মাহামুদপুর ও রাজপাট ইউনিয়ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন বণ্টন অনুসারে গোপালগঞ্জ-১ আসনের অংশ। বাকি ৭টি ফুকরা, ওড়াকান্দি, পুইশুর, বেথুড়ী, হাতিয়াড়া, সিংগা ও নিজামকান্দি ইউনিয়ন সংসদীয় আসন গোপালগঞ্জ-২ এর অংশ।
রবিবার (৩১ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো কাশিয়ানীর ১৪টি ইউনিয়ন। এবারের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর মাথা ব্যথা দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী।
নিজের দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা ঘুম কেড়ে নিয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের। তবে ভেদাভেদ ভুলে উন্নয়নের আশায় গোপালগঞ্জ ১ আসনের ৭ ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ করে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাথে কথা হলে তাঁরা জানান, জনগণের ভোটে যেই জিতুক তাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে কেউ জিততে চাইলে কাশিয়ানীর জনগণ তা মেনে নেবে না। সুষ্ঠ ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তাঁরা।