আজকের কাশিয়ানী ডেস্ক:-গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে কৃষি ব্যাংকে ডাকাতিকালে ব্যাংক কর্মকর্তা খুনের অভিযোগে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারিক আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সমির দাস ওরফে সমিরন দাস মুকসুদপুর উপজেলার উজানি ইউনিয়নের বাসুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুজন হলেন, কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামের ইয়ার আলি সিকদার এবং একই ইউনিয়নের সিলটা গ্রামের রফিকুল ইসলাম। তাঁদের দুজনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় প্রদান করেন।
মামলায় ২৫ জন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল গভীর রাতে একদল ডাকাত ব্যাংকে ডাকাতি করতে যায়। এ সময় ব্যাংকের মধ্যে একটি রুমে সেকেন্ড অফিসার আয়ুব হোসেন মোল্লা (৫৫) ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি টের পেয়ে চিৎকার দিলে ডাকাত সদস্য সমির দাস ওরফে সমিরন দাস প্রথমে কুপিয়ে ও পরে বন্দুক দিয়ে ওই কর্মকর্তাকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলে ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হন।
পরের দিন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শচীন্দ্র নাথ বালা বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় ২৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়র করেন।
এ ছাড়া ডাকাতরা ব্যাংক থেকে বেশ কিছু টাকা ও বাজারের ৪টি দোকান থেকে টাকা-পয়সা লুটে নেয়। ওই রাতে স্থানীয় চৌকিদার মন্টু শিকদার দুর থেকে সবকিছু লক্ষ্য করেন। ডাকাত সমির দাস বন্দুক দিয়ে গুলি করে ব্যাংক কর্মকর্তাকে খুন করেছে তাও তিনি দেখেন।
দীর্ঘ শুনানির পর আজ বৃহস্পতিবার বিচারক উপরোক্ত রায় দেন।
মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি মো. শহিদুজ্জামান খান এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন মো. ইসমাইল হোসাইন, ফজলুল হক খান এবং আহমেদ নওশের আলি।