আজকের কাশিয়ানী ডেস্ক:- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ৫ নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের কাঠাম দরবস্ত (কাগদী) রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, কাশিয়ানী থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন , কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বিজয় মৃধার ছেলে সুজর মৃধা (৩৫), নিরোদ দাসের ছেলে পরিতোষ দাস (৩০), রবিন বিশ্বাসের ছেলে অমৃত বিশ্বাস (৩৫), মহের বিশ্বাসের ছেলে হিরামন বিশ্বাস (৪৫) ও পারুলিয়া গ্রামের মালেক সিকদারে ছেলে রাজ্জাক সিকদার (৪০)।
এঘটনায় আহতদের কাশিয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিরগ্রাম প্রাইমারি স্কুলের কাজ শেষ করে নির্মাণ শ্রমিকরা একটি নসিমনে করে পারুলিয়া ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের কাঠাম দরবস্ত গ্রামের কাগদি রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা গোপালগঞ্জগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি নসিমনকে ধাক্কা দেয়। এতে নসিমনে থাকা ৫ শ্রমিক ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন আরো ৩ জন। আহতদের উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান। তিনি জানান, নসিমনে ১৫/১৬ জন শ্রমিক ছিলেন।নিহতদের পরিবারের দাফন কাফনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেয়া হয়েছে। আহত একজনকে ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠাননো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কাঠামদরবস্ত গ্রামের শামচুল হক খানের ছেলে ব্যবসায়ী হাসান খান বলেন, ঘটনার সময় তিনি রেললাইনের পাশে দাড়িয়ে মোবাইল ফোন চালাচ্ছিলেন। তখন তিনি প্রথম ট্রেনের আলো দেখে তাদের কলারপাতা দিয়ো নেমে যাওয়ার জন্য সংকেত দেন। তখন নসিমনের পিছন থেকে ৫ জন নেমে যান।
রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি মো. মাসুদ আলম বলেছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরো বলেন, লোকবল সংকটের কানণে রেলের বিভিন্ন ক্রসিং এ গেট নাই। আর গেট না থাকার কারণে এখানে গেটম্যানও নাই। তবে কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে এই রুটে গেট ও গেটম্যানের ব্যবস্থা করা হবে।