কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
ছয় বছরেও শেষ হয়নি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভবন নির্মাণ কাজ। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী দেড় বছরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে দফায় দফায় মেয়াদ বৃদ্ধি, ঠিকাদার পরিবর্তনের কারণে নির্মাণ কাজে ধীরগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে তিনতলা বিশিষ্ট মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি নির্মাণ হচ্ছে। এতে নারী-পুরুষের পৃথক অজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণা এবং দ্বীনি দাওয়াত কার্যক্রম, কোরআন হেফজ, শিশুশিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসল, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থাও থাকবে। মসজিদটিতে এক সাথে ৯০০ মুসল্লি¬ নামাজ আদায় করতে পারবেন।
কাজের ধীরগতির বিষয় জেলা গণপূর্ত বিভাগ জানায়, ২০১৯ সালে এসসিএল এন্ড এইচ সিও (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত স্থানের পুরাতন মসজিদটি অপসারণের জন্য পাশে অস্থায়ীভাবে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। পরে ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সাইট বুঝিয়ে দেওয়া হয়। নির্ধারিত স্থানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সার্ভিস পাইল ড্রাইভ সম্পন্ন করলেও নির্মাণ সামগ্রীর বাজার মূল্য অত্যাধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় চুক্তি বাতিলের অনুরোধ করেন ঠিকাদার। তাদের কার্যাদেশ বাতিল করে ২০২৩ সালের জুনে মেসার্স পিআর প্রকৌশলী নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ১৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করতে বলা হয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স পিআর প্রকৌশলীর স্বত্ত্বাধিকারী তোরাব হোসেন বলেন, ‘মডেল মসজিদের মিনার ও গম্বুজের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আশাকরি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো।’
গণপূর্ত অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল বলেন, ‘আগের ঠিকাদারের গাফিলতি ও পরে ঠিকাদার নিয়োগকে কেন্দ্র করে নির্মাণকাজ কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এখন দ্রুত কাজ চলছে। চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে।’