Ajker Kashiani

কাশিয়ানীতে প্রভাবশালীদের দখলে খেলার মাঠ!

কাশিয়ানীতে ‘প্রভাবশালীদের দখলে’ খেলার মাঠ

প্রতিনিধি কাশিয়ানী:- সরকারি খেলার মাঠ দখল করে ঘরবাড়ি ও পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বড়পারুলিয়া দক্ষিণপাড়া বটতলা সংলগ্ন খেলার মাঠটি দখল করে সেখানে ওই এলাকার প্রভাবশালী আনিসুর রহমান শেখ ও নওশের আলী শেখ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।

মাঠটি দখলমুক্ত করতে স্থানীয় ক্রীড়ামোদি ও সাধারণ জনগণ ভূমি মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তবে মাঠটি দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের কোন উদ্যোগ নেই।

এসব অভিযোগ অস্বীর করে আনিসুর রহমান বলেন, সরকারি জমি দখল করবো কেনো। আমি আমার জমিতেই ভবন নির্মাণ করেছি। কিছু লোক অহেতুক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সরকারি খেলার মাঠের উত্তরপাশের কিছু অংশ দখল করে ভবন নির্মাণ করেছেন আনিসুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। মাঠের দক্ষিণপাশে ঘরবাড়ি ও পাকা ল্যাট্রিন নির্মাণ করে দখল করেছেন নওশের আলী নামে অপর এক ব্যক্তি। এতে মাঠটিতে খেলাধুলায় বিঘ্ন ঘটছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের বড় পারুলিয়া দক্ষিণপাড়া বটতলা এলাকায় সরকারি গোচারণভূমি রয়েছে। ওই ভূমি খেলার মাঠ হিসেবে শত বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যেখানে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, হাডুডু খেলা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কিন্তু মাঠটির কিছু অংশ স্থানীয় প্রভাবশালী আনিসুর রহমান শেখ ও নওশের আলী শেখ দখলে নিয়েছেন। সেখানে তারা পাকা ভবনসহ নানা স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। এতে মাঠটি দিন দিন সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে। খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওই এলাকার শিশু-কিশোর ও যুবকরা।

ওই এলাকার বাসিন্দা মো. রব্বানী শরীফ অভিযোগ করে বলেন, ছোট বেলা থেকে মাঠটিতে আমরা ফুটবল, ক্রিকেট ও ব্যাটমিন্টন খেলে আসছি। কিন্তু মাঠটি প্রভাবশালীরা দখল করায় এখন আর আগের মতো খেলাধুলা করা যায় না। বর্তমান মাঠের এক পাশে পাকা ভবন, মাদ্রাসার নাম করে বিশালাকৃতির আধাপাকা ঘর ও অপরপাশে একটি পাকা ল্যাট্রিন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে মাঠটি ছোট হওয়ার পাশাপাশি খেলার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে।

এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে মাঠটিতে খেলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দা মনি শরীফ, তৈয়াব আলী শরীফ, আরমান শরীফ, মিজান, জাহাঙ্গীর, শফিকুল ইসলামসহ আরো অনেকে।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের মুঠোফোনে এসএমএস করে, একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।