Ajker Kashiani

যাত্রা শুরু করলো ইনোকপ গ্লোবাল টেকনোলোজী লিঃ

ফেসবুক, ইউটিউব এর বিকল্প প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসছেন ইনোকপ গ্লোবাল টেকনোলজী ।গত ৩ অক্টোবর জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর আইটি কোম্পানি ইনোকোপ গ্লোবাল টেকনোলজী লিঃ ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে গ্রান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এ সময় উক্ত গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠানে- প্রযুক্তিবিদ,লেখক, রাজনীতিবিদ, সেলিব্রেটি এবং ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোক উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইনোকপ গ্লোবাল টেকনোলোগীর লিঃ’র ফাউন্ডার ও সি,ই,ও জনাব জহিরুল ইসলাম মিন্টু, ফাউন্ডার জানাব মহিদুল ইসলাম মুহিত, এমদাদ হোসেন, ইমামুল হাওলাদার, রেজাউল করিম, অপু আহম্মেদ এবং উপদেষ্ঠা মেজর অবঃ এনামুল হক এনাম। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনাব আলমগীর শিকদার লোটন, মনিরুল ইসলাম মিলন, গোলাম মোস্তফা, সুজিদ চক্রবর্তী, শাহাদাৎ হোসেন মুন্না, ইমন ফরাজী প্রমুখ।

দৈনন্দিন জীবনের একটি বড় অংশ দখল করে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া বা অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রতিটি মানুষ এখন ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা ইন্সট্রাগ্রাম, ইমু ইত্যাদির মতো কোন না কোন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত আছেই। এসব সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে আরেকটি জীবন। যাকে সবাই ভার্চ্যুয়াল লাইফ হিসেবেই চেনে। সোশ্যাল মিডিয়াকে সজ্ঞায়িত করলে, সোশ্যাল মিডিয়া মানেই অন-লাইন কমিউনিটি। ব্যাবসা বাণিজ্য, লেনদেন, দেশ বিদেশে যোগাযোগ, ডকুমেন্ট আদান প্রদান, সবকিছুই চলে এই অন-লাইন ওয়েবসাইট ও এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম এখন একটা বিপ্লব চলছে, এর যাত্রা অনেক আগে হলেও ২০১০ সালে মূলত দুনিয়া জুড়ে এর একটা বিপ্লব ঘটে। ব্যবহারকারীর সংখ্যাও ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে এরকম প্লাটফর্ম গড়ে উঠেনি। সেই দিক লক্ষ্য রেখে বাংলাদেশের কিছু তরুণ/তরুণী দীর্ঘদিন চেষ্টা করে আইটি সেক্টরে বিপ্লব ঘটাতে প্রতিষ্ঠা করেন “ইনোকপ গ্লোবাল টেকনোলজী লিঃ”এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো গত ৩রা অক্টোবর ।

ইনোকপ গ্লোবাল টেকনোলজী লিঃ এর সিইও এম.জে.আই মিন্টুর নিকট থেকে জানা যায় এই কোম্পানি থেকে ১১ টি অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপ এর কাজ শুরু করেছেন তারা, যেমনঃ ফেসবুক এর বিকল্প “মিতালী” মিতালীতে ফেসবুকের চেয়েও অনেক বেশি সুবিধা পাবেন ইউযাররা , মিতালীতে শিক্ষিত বেকার তরুণ তরুণীদের আত্মকর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা থাকবে। ইউটিউব এর বিকল্প Vcop (ভিকপ) এটি ইউটিউব এর মতোই ভিডিও প্ল্যাটফর্ম। তবে এখানে বাড়তি কিছু সুযোগ সুবিধা আছে ইউটিউবে শুধুমাত্র যিনি ভিডিও আপলোড দেয় সেই ইনকাম পায় আর Vcop-এ ভিউয়ার্স ও ইনকাম পাবে। নেটফ্লিক্স এর বিকল্প “ই-সিনেপ্লেক্স” এটি মূলত অনলাইন সিনেমা হল এখানে গ্রাহক খুব কম খরচে নতুন নতুন সিনেমা, নাটক, গান মিউজিক ভিডিও সহ বিনোদনের সবকিছু দেখতে পারবেন ২৪ ঘন্টা। ইনোকোপের আরেকটি অ্যাপ্লিকেশন “G-Book”(জিবুক) জিবুক এ ক্লাস ওয়ান থেকে অনার্স-মাস্টার্স, ল সহ বিভিন্ন বই পাওয়া যাবে, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন লেখকের লেখা বই পাওয়া যাবে। এভাবেই হোয়াটসঅ্যাপ, জুম, টিক টক সহ ই-কমার্স আপাতত মোট ১১ টি অ্যাপ্লিকেশন বা অ্যাপ এর ডেভেলপমেন্টের কার্যক্রম শুরু করেছেন ইনোকপ গ্লোবাল টেকনোলজি লিঃ। ইনোকপ গ্লোবাল টেকনোলজি লিঃ ইতিমধ্যে তাদের RJSC লাইসেন্স সম্পূর্ণ হয়েছে। কোম্পানির লক্ষ্য আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ই-কমার্স, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, সফটওয়্যার সেক্টরে ২০ লক্ষের বেশি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করবে ইনোকপ গ্লোবাল টেকনোলজি লিঃ

সর্বশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কেক কেটে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।