আজকের কাশিয়ানী

কাশিয়ানীতে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, কৃষক পরিবারকে মারধর 

কাশিয়ানীতে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, কৃষক পরিবারকে মারধর 
প্রতিনিধি কাশিয়ানী:- জমিতে প্রশস্ত রাস্তা করতে বাঁধা দেয়ায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বৃদ্ধা ও শিক্ষার্থীসহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ সময় ঘরবাড়ি ভাংচুর ও ঘরের মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের গেড়াখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ওই গ্রামের কৃষক মান্নান শেখের স্ত্রী পারভীন বেগম, তার শত বছর বয়সী বৃদ্ধা মা হাজেরা বেগম, মেয়ে লিমা খানম, মিম বেগম ও অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মারিয়া খানম। গুরুত্বর আহত পারভীন বেগমকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কাশিয়ানীতে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব, কৃষক পরিবারকে মারধর 
এ ঘটনায় কৃষক আব্দুল মান্নানের মেয়ে মিম বেগম বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই গ্রামের কৃষক মান্নান শেখের বসতভিটার জমির ওপর দিয়ে পায়ে হাটা পথে বাড়িতে যাতায়াত করেন প্রতিবেশি রুহুল আমিন তালুকদার। কিন্তু রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে মান্নানের জমির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক প্রশস্ত রাস্তা করার পাঁয়তারা করছেন। গত রোববার সকালে রুহুল আমিন লোকজন নিয়ে মান্নানের জমি দখল করে রাস্তা করতে যান। এ সময় মান্নানের পরিবার লোকজন রাস্তা করতে বাঁধা দেয়। এতে রুহুল আমিন ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মান্নানের বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে। এছাড়া বসতঘর ভাংচুর, মালামাল, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। মারধরে গুরুত্বর আহত মান্নান শেখের স্ত্রী পারভীন বেগমকে (৫৫) কাশিয়ানী উপজেলা ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে অসহায় ওই পরিবারটি।
ভূক্তভোগী মান্নান শেখ বলেন, ‘আমি আমার ক্রয়কৃত জমিতে বসতবাড়ি করে বসবাস করছি। প্রতিবেশি লোকজনের যাতায়াতের জন্য রাস্তা দিয়েছি। এখন আমার আরও জমি দখলে নিয়ে প্রতিবেশি রুহুল আমিন তালুকদার তার নিজের সুবিধামত রাস্তা করতে পাঁয়তারা করছে। রোববার সকালে আমার জমি দখল করে রাস্তা করতে গেলে বাঁধা দেই। এতে রুহুল আমিন ও তার লোকজন আমার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে। আমার কোন ছেলে সন্তান নেই। আমার পাঁচটি মেয়ে সন্তান। আমার ছেলে সন্তান না থাকায় সে আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। রুহুল আমিনের ভয়ে আমার অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া ছোট মেয়ে মারিয়া পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে। ওরা আমার একটি ছাগলও ধরে নিয়ে গেছে। ওদের ভয়ে মেয়েদের নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে আছি। ঘর থেকে বের হতে পারছি না। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে রুহুল আমিন তালুকদারের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই ‘আমার ফোনে চার্জ নাই। এখন কথা বলতে পারবো না।’ বলেই সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।
কাশিয়ানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজান ফকির অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখে এসেছি। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা যেটা হয়, আমি সেটাই নিবো।’