ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী কড়ইতলী পাহাড়ের ঢালে ফসলি জমিতে বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত ঐ কৃষকের নাম নওশের আলী (৬৪)। তিনি কড়ইতলী গ্রামের মৃত মুসলেম উদ্দিন ওরফে নূর মোহাম্মদের পুত্র। কৃষক নওশের আলীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ১১২২ নং পিলারের কাছে বাংলাদেশ সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, পাহাড় থেকে প্রায়ই হাতির দল নেমে এসে তাদের রোপনকৃত আমন ধানের ফসল নষ্ট করে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত রাত ১ টার সময় ফসলী জমিতে হাতির দল নেমেছে শুনে ছুটে যান কৃষকরা। এ সময় টর্চ লাইট, মশাল জ্বালিয়ে ও চিৎকার করে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেন। এ সময় অন্যান্য কৃষকদের সাথে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ নওশের আলী। একপর্যায়ে দল থেকে একটি হাতি কৃষকদের দিকে তেড়ে আসে। অন্য কৃষকরা দৌড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেলেও বৃদ্ধ কৃষক নওশের ধান ক্ষেতে পড়ে যান। এ সময় হাতিটি অতর্কিতে আক্রমণ চালিয়ে পায়ে পিষ্ট করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সকালে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম সুরুজ মিয়া, গোপালপুর বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা মো. মাহজারুল হক।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম সুরুজ মিয়া বলেন, হাতির আক্রমণে কৃষকের প্রাণহানি ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। হাতির আক্রমণ থেকে ফসলি জমি রক্ষা করা না গেলে এই এলাকার কৃষক অনাহারে থাকবে। আমি বার বার বিষয়টি উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় তুলে ধরেছি। কিন্তু প্রশাসন ও বন বিভাগ কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমি আশা করবো প্রশাসন এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান খান বলেন, আমরা শুক্রবার সকালে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে কৃষক নিহত হওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।