আজকের কাশিয়ানী

বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে গণধর্ষণ: ৬ আসামির আদালতে সোপর্দ

নিউজ ডেক্স:-  গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে আসামিদের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া সুলতানা লিপি ও মো. শরীফুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল বলেন, আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। আসামিরা হলেন— গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের শাফায়েত মিয়ার ছেলে রাকিব মিয়া ওরফে ইমন (২২), শহরের মার্কাস মহল্লার বাবুল ফকিরের ছেলে পিয়াস ফকির (২৬), পরেশ বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (২৪), চাঁন মিয়া সরদারের ছেলে মো. হেলাল সরদার (২৪), নবীনবাগের অহিদুজ্জামানের মো. নাহিদ রায়হান (২৪) ও তূর্য মোহন্ত (২৬)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা গণধর্ষণে নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছে। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে আসামিদের গোপালগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগস্থ হেলিপ্যাড থেকে হেঁটে বের হচ্ছিলেন। এ সময় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে কয়েকজন যুবক তাদের তুলে নেয়। পরে পাশে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে বন্ধুকে মারধর ও ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান গোপালগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বহস্প‌তিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থে‌কে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেলে প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক হওয়ার পর অবরোধ তুলে নেয়া হয়। কিন্তু কিছু শিক্ষার্থী সড়ক থেকে না সরলে বহিরাগতদের হামলায় ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়।