মুকসুদপুরে ২ প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক:- তৃতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মুকসুদপুর উপজেলার খান্দারপাড় ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় মামুন, ডাবলু, রাসেল, এরসাদ নামে চারজন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে খান্দারপাড় বাজারে এ ঘটনা ঘটে। দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন- সাব্বির খান ও সাহিদুল ইসলাম মুন্সী।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকালে খান্দারপাড় ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাহিদুল ইসলাম মুন্সী খান্দারপাড় বাজারে নির্বাচনী প্রচারনা চালানোর সময় নৌকা প্রার্থী সাব্বির খানের সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুল ইসলাম মুন্সীকে প্রচারনায় বাধাসহ লাঞ্চিত করে। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে লাঞ্চিতের খবর শুনে সাহিদুল ইসলাম মুন্সীর সমর্থক জড়ো হলে উভয়ের মধ্যে ঘন্টা ব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কয়েকদিন ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহিদুল ইসলাম মুন্সীর মোটরসাইকেল প্রতিকের সমর্থকদের মারপিট, পোস্টার লাগাতে বাধা, প্রচারের মাইক ভাঙচুর করে আসছে নৌকা প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।

মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বকর মিয়া বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।

 

আরো পড়ুন: কাশিয়ানীতে বিজয়ী প্রার্থীকে মারধর, ভোটকেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুর মামলা

 

কাশিয়ানী প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পুইশুরে ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে লাঞ্ছিত, পোলিং এজেন্ট, বিজয়ী প্রার্থীর ওপর হামলা, ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর ও ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী সেলিম মোল্যা ও তার সমর্থকরা।

এতে ওই কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা পোলিং এজেন্ট এস এম আব্দুল্লাহ ও সাইফুল সরদার এবং বিজয়ী ইউপি সদস্য মো. রাজু শিকদার গুরুতর আহত হন। আহতরা কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার পুইশুর ৯নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের হয়নি।

তবে রোববার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিজয়ী ইউপি সদস্য রাজু শিকদারের ছোট ভাই রোমান শিকদার বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে কাশিয়ানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

কাশিয়ানী থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ ফিরোজ আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Leave a Comment