Uncategorized
জোর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর; চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

জোর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর; চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিনিধি কাশিয়ানী:- যুবককে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জিম্মি করে জোরপূর্বক ফাঁকা স্ট্যাম্প ও কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেবদুলাল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই যুবক বাদী হয়ে (১৯ আগস্ট) গোপালগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার হাতিয়াড়া গ্রামের দীপংকর রঙ্গের জায়গা একই গ্রামের গোবিন্দ গাইন জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্যে বালু ফেলে ভরাটের চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে দীপংকর বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরের দিন দীপংকর ওয়ারিশন সনদপত্র আনতে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের কাছে যান। ওয়ারিশন সনদপত্র কী কাজে লাগবে চেয়ারম্যান জানতে চাইলে, গোবিন্দ গাইনের সাথে তার জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও দায়েরকৃত মামলার কাজে লাগবে বলে দীপংকর চেয়ারম্যানকে জানান। তখন চেয়ারম্যান দীপংকরকে কম্পিউটারে কম্পোজ করে একটি ওয়ারিশন সনদপত্র করে নিয়ে আসতে বলেন।

চেয়ারম্যানের কথামতো দীপংকর কম্পিউটারে একটি সনদপত্র করে চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে গেলে, তিনি সেটি রেখে দীপংকরকে একদিন পরে আসতে বলেন। পরের দিন দীপংকর চেয়ারম্যানের কাছে গেলে সনদপত্রে ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের সীল-স্বাক্ষর লাগবে বলে জানান। দীপংকর সীল-স্বাক্ষর নিয়ে দু’দিন পর (১৬ আগস্ট) ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান দেবদুলাল বিশ্বাস তাকে দেখেই উত্তেজিত হয়ে বলে, ‘গোবিন্দ গাইনের বিরুদ্ধে করা মামলা তোর তুলে আনতে হবে। এ মামলা আদালতে চলবে না।’ এতে দীপংকর রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন। এক পর্যায় ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে দীপংকরকে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১০০ টাকার তিনটি নন জুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্প ও ফাঁকা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এ সময় তিনি দীপংকরের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করেন ও পুলিশ দিয়ে হয়রানী এবং গ্রাম ছাড়ার হুমকি দেন বলেও মামলায় উল্লেখ রয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান দেবদুলাল বিশ্বাস তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এলাকার একটি মহল দীপংকরকে দিয়ে ভুয়া ওয়ারিশন সনদপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছিল। আমি দীপংকরকে পুলিশে দিয়েছিলাম।’

কাশিয়ানী থানার ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ ফিরোজ আলম জানান, ‘এখন থানায় এ ধরণের মামলার কোন কাগজপত্র পৌঁছায়নি। পৌঁছালে মামলা নথিভূক্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


All rights reserved © 2021।। Ajker Kashiani